
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় মেয়েলি ঘটনাকে কেন্দ্র করে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আরিফুল ইসলাম (২৬) নামে ছাত্রলীগের এক নেতাকে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। নিহত আরিফুল ইসলাম উপজেলার কচুগাড়ি গ্রামের গোলাম রসুলের ছেলে এবং ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি। সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরিফুল ইসলাম নিহত হয়েছেন।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গোসাইবাড়ি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রাঙ্গার ছেলে রাসেল বাবু রুমন ভালোবেসে একই এলাকার জান্নাতুল নাইম নামে এক ছাত্রীকে ২০১৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিয়ে করে। তাদের বিয়ের বিষয়টি উভয় পরিবারের কাছে গোপন ছিল।
স্ত্রীকে শ্বশুর বাড়িতে রেখে রাসেল বাবু ঢাকায় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করে। মাঝেমধ্যে বাড়িতে এলেও রাসেল বাবু শ্বশুরবাড়িতে থাকা স্ত্রীর খোঁজ খবর নেয় না। এক পর্যায়ে বিষয়টি উভয় পরিবারসহ এলাকায় প্রকাশ পেলে রাসেল বাবু বিয়ের কথা অস্বীকার করে। এ বিষয়টি নিয়ে ২৫ এপ্রিল গোসাইবাড়ি বাজার এলাকায় উভয়পক্ষের মধ্যে সমঝোতার বৈঠক বসে। কিন্ত সমঝোতা হয় না। বরং উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলায় ৬ জন আহত হয়।
এ ঘটনার পর থেকে দুই পরিবারের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করে। এক পর্যায়ে ১৩ জুন সন্ধ্যার দিকে গোসাইবাড়ি বাজার এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রতিপক্ষের রডের আঘাতে যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম রাঙ্গার ভাগ্নে আরিফুল ইসলাম (২৬) ও সোহান (২২) আহত হয়। আহতদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আরিফুল ইসলাম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।
এ ঘটনায় যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম রাঙ্গা বাদী হয়ে মেয়েটির বড় ভাই টনি মিয়াসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। এদিকে ঘটনার পর থেকে মামলার আসামিসহ মেয়ে পক্ষের লোকজন পলাতক রয়েছে।
মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ধুনট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খোকন কুমার কুন্ডু বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতার প্রমান পাওয়া গেছে। মামলার আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ইত্তেফাক
নিউজটি পড়েছেন 4489 জন