
বাংলাদেশের সোনালি আঁশ খ্যাত পাটে সুদিন ফিরছে। কাঁচা পাট রফতানির পাশাপাশি পাটজাত বিভিন্ন দ্রব্যও বিদেশে রফতানির পাশাপাশি সম্ভাবনার নতুন খাত হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে পাটখড়ির ছাই বা ছাই থেকে তৈরি কার্বন।
পাটখড়ি পুড়িয়ে তৈরি করা হয় চারকোল পাউডার বা কার্বন। এ কার্বন চীনসহ কয়েকটি দেশে রফতানি হয়। কার্বন থেকে তৈরি হয় কার্বন পেপার, কম্পিউটার ও ফটোকপির কালি, আতশবাজি, মোবাইল ফোনের ব্যাটারি, প্রসাধনপণ্য প্রভৃতি। এ ছাড়া পাট থেকে বর্তমানে ২৮১ ধরনের বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদিত হচ্ছে। সর্বাধুনিক মডেলের গাড়ির বডি, ঢেউটিন ও অন্যান্য উপাদান তৈরির কাঁচামাল হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে বাংলাদেশের পাট।
স¤প্রতি ধুনট পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে পাটচাষিদের এক প্রশিক্ষণে বক্তারা জানান, পাট কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করে সর্বাধুনিক মডেলের গাড়ির বডি তৈরি হচ্ছে। শুধু তাই নয়, পাটখড়ির ছাই রফতানিও হচ্ছে। পাটের স্যানিটারি ন্যাপকিন এখন স্বাস্থ্যসম্মত ও সহজলভ্য। ধুনট উপজেলা নির্বাহী অফিসার সন্জয় কুমার মহন্তের সভাপতিত্বে এ পাটচাষিদের প্রশিক্ষণে বক্তারা বলেন, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে পরিবেশবান্ধব পাট ও পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় জিডিপিতে পাট খাত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এ বিষয়ে মো. জাকির হোসেন, উপপরিচালক (বীবি), বিএডিসি বগুড়া, বলেন পাট ও পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধির ফলে দেশে প্রান্তিক চাষিদের পাট ও পাটের বীজ উৎপাদনে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া বহুমুখী পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় পাটজাত পণ্য বিদেশে রফতানি করে প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হচ্ছে। সময়ের আলো