
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় সরাসরি ২টি খাদ্য গুদামে আমন ধানের চাল সরবরাহ করতে খাদ্য বিভাগের সাথে চুক্তিবদ্ধ না হওয়ায় ১২ মিল মালিককে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক।
আজ মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে ধুনট উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল মজিদ জানান, এ উপজেলার ১২ জন মিল (চালকল) মালিককে আমন মৌসুমে গুদামে ধান চাল সরবরাহের জন্য চুক্তিবদ্ধ হতে চিঠি দেয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী লাইসেন্সধারী মিল মালিকদের অবশ্যই সরকারি খাদ্য সংগ্রহ অভিযানে অংশ নিতে হবে।
যা উল্লেখিত ১২জন মিল মালিক মানেনি। এ কারণে তাদের শোকজ করা হয়েছে। ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে সন্তোষ জনক জবাব না পেলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় সরকারি ২টি খাদ্যগুদামে ৯৪৯ মেট্রিক টন আমন ধান এবং ৪২৭ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করার কথা।
সরকারি ভাবে প্রতি কেজি ধানের দাম ২৮ টাকা ও চালের দাম ৪২ টাকা ধরা হয়েছে। গত ২০২২ সালের ১৭ নভেম্বর থেকে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি এ অভিযান শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্ত মঙ্গলবার পর্যন্ত খাদ্যগুদামে একমুঠো ধান-চাল সংগ্রহ করতে পারেনি খাদ্য বিভাগ।
ধান-চাল সরবরাহ না করায় ৯ ফেব্রুয়ারী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাজী সাইফুদ্দিন স্বাক্ষরিত পত্রে মিল মালিকদের শোকজ করা হয়েছে। ধুনট উপজেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম বলেন, সরকারি মূল্যের চেয়ে বাজারে ধান-চালের দাম বেশি। এ কারণে গুদামে চাল সরবরাহ করা হলে লোকসান গুনতে হবে।
ফলে চাল সরবরাহের জন্য চুক্তিবদ্ধ হননি। এ ঘটনায় খাদ্য বিভাগ থেকে শোকজ নোটিশ পেয়েছেন এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জবাব দাখিল করবেন। করতোয়া