
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের শিল্প মিটারের গ্রাহক কৃষক ও ব্যবসায়ীরা মিটার চোরচক্রের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন। মিটার চুরি করে চাঁদা আদায় করছে সংঘবদ্ধ একটি চক্র। চাঁদা আদায়ের পর সেই মিটার আবার মালিকদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। চুরি করা মিটার ফেরত পেতে তিন থেকে সাত হাজার টাকা করে দিতে হচ্ছে। অনেকে আবার নিয়মিত চাঁদা দিয়ে মিটার রক্ষা করছে।
একই কৌশলে মঙ্গলবার রাতে চালাপাড়া গ্রামের গোলাম মোস্তফা, আব্দুল লতিফের চালকল ও মাটিকোড়া গ্রামের আব্দুল হামিদের কারখানা থেকে বৈদ্যুতিক মিটার চুরি করে দূর্বৃত্তরা। ক্ষতিগ্রস্থ মিটার মালিকেরা বুধবার সকালে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। কিন্ত পুলিশের পক্ষ থেকে কোন তৎপরতা না পেয়ে অবশেষে চিরকুটে লেখা চোরের বিকাশ নম্বরে টাকা দিয়ে মিটার ফেরত পেয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ‘মিটার পাবে’ উল্লেখ করে একটি কাগজের চিরকুটে মোবাইল নম্বর লিখে চুরি করা মিটারের স্থানে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হলে পাঁচ-সাত হাজার টাকা বিকাশ করলে মিটার ফেরত দেওয়া হয়। চালকল, স’মিল, ইটভাটা কিংবা গভীর নলকূপ, যেখানে বিদ্যুৎ বেশি লাগে সেখানে ব্যবহার করা হয় থ্রি ফেজ মিটার। অভিনব কায়দায় এসব মিটার চুরির হিড়িক পড়েছে। এক মাসে বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে অন্তত আটটি শিল্প মিটার চুরি করেছে দুর্বৃত্তরা।
উপজেলার চালাপাড়া গ্রামের চালকল মালিক গোলাম মোস্তফা এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে থ্রি ফেজের একটি শিল্প মিটার পেতে খরচ হয় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। আমার চালকল প্রতিষ্ঠান থেকে একটি শিল্প মিটার চুরি হয়। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু পুলিশের সহযোগিতা না পেয়ে চোরচক্রের দেওয়া বিকাশ নম্বরে ৩ হাজার টাকা দিয়ে মিটারটি উদ্ধার করেছি।
এ বিষয়ে ধুনট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বুধবার সকালের দিকে ২জন ব্যবসায়ী তাদের মিটার চুরির বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করে। কিন্ত থানা থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার আগেই তারা মিটার ফেরত পেয়েছে বলে জানিয়েছেন। তবে চিরকুটে লেখা মোবাইল নম্বরটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। করোতোয়া