
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ব্যাংক কার্যালয়ের ভেতরেই প্রতারকের খপ্পরে পড়ে নগদ টাকা খুইয়েছেন মোহাম্মদ আলী (৭০) নামের এক অবসরপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মী। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড বগুড়ার ধুনট শাখায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী মোহাম্মদ আলী ধুনট পৌর এলাকার পূর্বভরনশাহী গ্রামের বাসিন্দা। মোহাম্মদ আলীর দাবি, প্রতারক এক যুবক কৌশলে তাঁর কাছ থেকে ২৩ হাজার নিয়ে গেছেন।
মোহাম্মদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, আজ বেলা ১১টার দিকে তাঁর নিজের হিসাব নম্বরের চেক দিয়ে সোনালী ব্যাংকের ধুনট শাখা থেকে তিনি ২৩ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। ব্যাংকের হিসাবরক্ষক তাঁকে ১ হাজার টাকার ২৩টি নোট বুঝিয়ে দেন। এ সময় পাশে থাকা অপরিচিত এক যুবক তাঁকে টাকাগুলো গোনার জন্য সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন। টাকা গোনা শেষে ওই যুবক কৌশলে একটি কাগজের প্যাকেট মোহাম্মদ আলীর হাতে তুলে দিয়ে সটকে পড়েন।
মোহাম্মদ আলীও কোনো কিছু না ভেবে কাগজের প্যাকেটটি পকেটে রেখে ব্যাংক থেকে বেরিয়ে যান। পরে বাজারের একটি দোকানে কেনাকাটা করতে গিয়ে ওই প্যাকেট খুলে দেখেন সেখানে কোনো টাকা নেই।
সোনালী ব্যাংক ধুনট শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক) শরিফুল ইসলাম বলেন, প্রতারকের খপ্পরে পড়ে গ্রাহকের টাকা খোয়ানোর বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তবে ব্যাংকের ভেতরে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরাটি নষ্ট। তাই প্রতারককে চিহ্নিত করা সম্ভব হচ্ছে না।
ধুনট থানার উপপরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ওই গ্রাহক মূলত ধোঁকাবাজির শিকার হয়েছেন। প্রতারক শনাক্তের চেষ্টা চলছে। তবে ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তি এ ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেননি। প্রথম আলো