
বগুড়ার ধুনটে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শহীদ মিনারে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে ধুনট উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে দুই জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে ধুনট উপজেলা পরিষদের সামনের একটি হোটেলের ভিতরে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন ধুনট উপজেলার চৌকিবাড়ি ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম অআহবায়ক লিপি আকতার (৩৮) ও মহিলা আওয়ামী লীগের কর্মী কাউসার জাহান কেয়া (৩০)।
আহতদের মধ্যে লিপি খাতুনকে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং কেয়াকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ধুনট উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পপি রানী সাহা ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা জাহানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। আর এ কারণেই মহিলা আওয়ামী লীগেও দুইটি গ্রুপের সৃষ্টি হয়েছে। এই ধারাবাহিকতায় তারা পাল্টাপাল্টি বিভিন্ন কর্মসূচিও পালন করে আসছে।
মঙ্গলবার ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ধুনট উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে মুজিব চত্বর এলাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এই সময় ধুনট উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পৃথক পৃথক ভাবে শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করাকে কেন্দ্র করে পপি রানী সহা ও সুলতানা জাহানের নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাহাতির ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহত ধুনট উপজেলার চৌকিবাড়ি ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক লিপি আকতার বলেন, শহীদ মিনারে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে লিপি আকতার মঙ্গলবার দুপুরে দিকে হোটেলে ভাত খাওয়ার সময় সেখানে তার উপর হামলা চালায়। এতে তার নাখ ও মুখ ফেটে যায়। এবিষয়ে ধুনট উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পপি রানী সাহা বলেন, শহীদ মিনারে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে লিপিকে হোটেলের ভেতরেই মারধর করা হয়েছে। আর এই হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন নাজনীন নাহার ও তার লোকজন।
অপরদিকে ধুনট উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা জাহান বলেন, শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণকালে লিপি আকতার আমাদের ফুলের মালা ছিঁড়ে ফেলে। আর এই ঘটনা নিয়েই কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, হামলায় বিষয়ে এখনও কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবিএন